January 8, 2025, 5:32 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক খাল-বিলে পানি কমে যাওয়ায় সুজানগরে চলছে মাছ ধরার উৎসব দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নড়াইলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বিলুপ্তপ্রায় বিএমডিএ’র অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিপাকে কর্মকর্তাগণ বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশী-বিদেশী অস্ত্রসহ কালাম বাহিনীর প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার বেতাগীতে তরুণদের উদ্যোগে উদারতার প্রীতি নির্মাণ ময়মনসিংহে ১৩ ইটভাটাকে ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত লাভজনক হওয়া সত্বেও শার্শায় খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহে আগ্রহ নেই গাছিদের যশোরের বাগআঁচড়ায় ফেনসিডিল সহ দু’জন আটক
নড়াইলের চাষীরা চলতি মৌসুমে পাট চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে

নড়াইলের চাষীরা চলতি মৌসুমে পাট চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে

উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছে চাষীরা। বাজারে পাটের যে দাম তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। গত দুই মৌসুমে পাটের ভালো দাম পেলেও, এবার দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পাট চাষীরা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না। তাই পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন চাষীরা। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান,
পাট চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে। মজুরি ব্যায়, সার, কীটনাশক ও বীজসহ চাষাবাদের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘা পাটের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৪-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে ৭ মণ। এক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা পাট চাষে লোকসান হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে, গত বছর এ সময় পাটের দাম ছিল শ্রেনী ভেদে ২ হাজার ৪শ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ। এক বছরের ব্যবধানে পাটের দাম প্রত মণে প্রায় এক হাজার টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষীরা। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে; যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার মিটাপুর গ্রামের বাবু নামের নামের এক পাট চাষী বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ, সার, কীটনাশক, মজুরির ব্যায়, লিজ খরচ ও পুকুর ভাড়া দিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। পাট উৎপাদন হয়েছে ৬ মণ। ১৭০০ টাকা দরে ৬ মণ পাট বিক্রি করে ১০ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। আমার ৬ হাজার টাকা লোকসান। গত বছরের তুলনায় পাটের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার মতো সকল পাট চাষীর লোকসান হচ্ছে। পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। এসম তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে ফসলে লোকসান সেই ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দিবে কৃষক।
সদর উপজেলার ভবানিপুর কয়েকজন পাট চাষী বলেন, পাট চাষ করে আমাদের পোষাচ্ছে না। পাটের দাম গত মৌসুমের অর্ধেক। সকল পাট চাষীর লোকসান হচ্ছে। বাজারে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ পাট বিক্রি হচ্ছে। এবার পাটের চাহিদাও কম। ব্যবসায়ীরা পাটের প্রতি তেমন আগ্রহী না। পাট চাষিদের প্রতি সরকার নজর দিক, দাম বৃদ্ধি করে দিক। লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে আগামীতে আমরা পাট চাষ করতে পারবোনা।
পাট ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাট চাষী ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই বিপাকে পড়েছে। কৃষকদের লোকসান হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারছে না। গত বছরের চেয়ে দাম এ বছর প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। মিল মালিকরা পাটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছো না।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত জরুরি। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD